প্রকাশিত: Tue, Jan 24, 2023 4:01 PM
আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 1:44 PM

সাগর-রুনি হত্যা মামলায় মানবাধিকার কমিশনের সহযোগিতা চান সাংবাদিক নেতারা

এম এম লিংকন: ৯৫ বারেও সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেওয়ার ব্যাখ্যা দায়িত্বপ্রাপ্তদের দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সাংবাদিক নেতারা। তারা মানবাধিকার কমিশনকে বলছেন, এটা মানবাধিকারের সর্বোচ্চ লঙ্ঘন। পাশাপাশি, কোন সাংবাদিকও এটার কোন গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে পারেনি, যা দুর্ভাগ্যজনক। আর মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন বলেছেন, মামলা শুরু হয়ে গেলে আইন অনুযায়ী তাদের করার তেমন কিছু থাকে না। আবার দেশের প্রচলিত কোন আইন যদি স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে অন্তরায় হয় তাহলে তা পরিবর্তনের জন্য আমাদের সকলের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে মানবাধিকার ও সুরক্ষায় গণমানুষের প্রত্যাশা: গণমাধ্যম ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সমন্বিত প্রয়াস শীর্ষক এক আলোচনা সভায় উভয় পক্ষ এ কথা বলেন। 

সাংবাদিক নেতা মুনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, দেশে সাংবাদিকদের হত্যাকাণ্ডে কোন রহস্য উদঘাটন বা এর বিচার হয় না। সাংবাদিকরাই মানবাধিকারের সুবিচার পায় না। এই সময় তিনি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডসহ আরো কয়েকজন সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের বিচার না পাওয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি মানবাধিকার কমিশনের আরো কিছু আইন সংশোধন করে সংস্থাটিকে শক্তিশালী হওয়ার পরামর্শ দেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। গণতন্ত্র না থাকলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নাই। আবার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা না থাকলে ভালো গণমাধ্যম পাওয়া যায় না। সারাবিশ্বে মাত্র ১৩ ভাগ মানুষ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ভোগ করে। 

তিনি বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৯৫ বারেও দেওয়া যায়নি। কেন দেওয়া যায়নি, এই ব্যাখায় আমাদের যাওয়া উচিত। 

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও গণমাধ্যমের উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। এই দুই প্রতিষ্ঠানের সেতু বন্ধন আরও সুদৃঢ় হওয়া দরকার। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যাপারে কমিশন সচেতন। সরকারের পক্ষ থেকে এই আইন সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। আমরা এর জন্য অপেক্ষা করছি। প্রয়োজনে আমরা এ বিষয়ে কথা বলবো। 

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, গ্রামাঞ্চলে নানা কাজে গ্রামে যেতে হয়, সেখানে নারী নির্যাতনের পরিমাণ অনেক বেশি। প্রতিবন্ধীরাও পিছিয়ে রয়েছে। শারীরিক, মানসিক প্রতিবদ্ধকতার কারণে পিছিয়ে। সামনে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার যেন লঙ্ঘন না হয় সেদিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।  

আােলাচনায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য সেলিম রেজা। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব